পাঁশকুড়া: পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ব্লকে বাংলা আবাস যোজনাকে কেন্দ্র করে নতুন প্রতারণার কৌশল সামনে এলো। অভিযোগ উঠেছে, কিছু প্রতারক নিজেদের ব্লকের জয়েন্ট বিডিও বা প্রশাসনের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ফোন করছে। ফোনে বলা হচ্ছে, “আপনার নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে। তবে বাড়ি পেতে হলে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।” গত কয়েকদিন ধরে পাঁশকুড়া ব্লকের বিভিন্ন বাসিন্দা এই ধরনের ফোন পাচ্ছেন। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের ফোন করে তাদের কাছ থেকেও টাকা দাবি করেছে প্রতারকরা। ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। পরে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁশকুড়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
গত কয়েকদিন ধরে পাঁশকুড়া ব্লকের বিভিন্ন বাসিন্দা এই ধরনের ফোন পাচ্ছেন। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের ফোন করে তাদের কাছ থেকেও টাকা দাবি করেছে প্রতারকরা। ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। পরে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁশকুড়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারণা চক্রটি কোথা থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং কারা এর সঙ্গে যুক্ত, তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। সন্দেহজনক ফোন নম্বরগুলোর উৎস শনাক্ত করার কাজ চলছে।
পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি এক সাংবাদিক বৈঠকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন। তিনি জানান, সরকারি প্রকল্পে কোনো টাকা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। যদি কেউ এ ধরনের ফোন পান, তাহলে দ্রুত প্রশাসন বা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্কও ছড়িয়েছে। বিজেপির দাবি, “এই প্রতারণা এবং দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল নেতাকর্মীরাই যুক্ত। সরকারের ছত্রছায়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।” তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে।
সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পেতে টাকা দেওয়ার দাবি সম্পূর্ণ ভুয়া। সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে এবং এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য বার্তা দিয়েছে প্রশাসন।ঘটনার পর থেকে পাঁশকুড়ার বাসিন্দারা চিন্তিত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রতারকদের শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।