তমলুক: তমলুকের ১১ নং ওয়ার্ডে একটি পুকুর বুজিয়ে নার্সিং হোম তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছেন, দীর্ঘদিনের পুকুরটি পাম্পের সাহায্যে শুকিয়ে ফেলে সেখানে নার্সিং হোম নির্মাণ কাজ শুরু করার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হলদিয়া-মেছেদা রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত প্রায় ১ বিঘা জমির এই পুকুরটি স্থানীয় ২০টিরও বেশি পরিবার ব্যবহার করে আসছে। পুকুরটি শুকিয়ে সেখানে নার্সিং হোম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পুকুর মালিক দাবি করেছেন, এটি শুধুমাত্র সংস্কার কাজ, তবে প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই এই কাজ চলছে।
তমলুকের তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম পাল জানিয়েছেন, তিনি পুকুরটির নতুন মালিকানার বিষয়ে অবগত নন। তবে পুকুর সংস্কারের কথা জানিয়েছেন এবং আইন বহির্ভূত কিছু হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
তৃণমূলেরই আরেক অংশের দাবি, শহরে বেআইনিভাবে নার্সিং হোম তৈরি ও পুকুর ভরাটের পেছনে শাসক দলের কিছু নেতার হাত রয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারীর সহযোগী কিছু নেতা এখনো দলে রয়ে গেছেন এবং তাদের মদতে এই ধরনের কার্যকলাপ ঘটছে।
অপরদিকে বিজেপি দাবি করেছে, পুরো ঘটনার পেছনে তৃণমূলের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। শাসক দলের নেতারাই পুকুর ভরাট করে নার্সিং হোম তৈরির পরিকল্পনায় সহায়তা করছে বলে তাদের অভিযোগ।
স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে, পুকুর ভরাটের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পুকুর ভরাটের ঘটনাটি তমলুকের রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় জল সরবরাহের পুকুরটি বুজিয়ে ফেলা পরিবেশগত এবং সামাজিক দিক থেকে বড় সংকট ডেকে আনতে পারে। প্রশাসন কীভাবে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয় এবং রাজনৈতিক মহলের চাপ সামাল দেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।