Midnapore: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৫ এমএল ও ১০ এমএল সিরিঞ্জের পাশাপাশি অ্যাড্রিনালিন ও পটাশিয়াম ক্লোরাইডের মতো জীবনদায়ী ওষুধের সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যেই তাঁরা এই সংকট নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ২ এমএল সিরিঞ্জ থাকলেও ৫ ও ১০ এমএল সিরিঞ্জের অভাবের কারণে জরুরি পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। অ্যাড্রিনালিন, যা শ্বাসকষ্টের মতো গুরুতর অবস্থায় ব্যবহৃত হয়, তারও সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়। দরিদ্র রোগীদের বাইরে থেকে এইসব ওষুধ ও সিরিঞ্জ কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা তাদের জন্য বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে।
জুনিয়র ডাক্তার ও রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিষেবা সঠিক নয়। পর্যাপ্ত বেডের অভাব, পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি এবং ওয়ার্ডে বিড়াল ঘোরার মতো সমস্যাগুলিও সামনে এসেছে। রবিবার খড়্গপুরের এক জলে তলিয়ে যাওয়া কিশোরের মৃত্যুর পর রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। সেই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা নিরাপত্তা কর্মীদের ভূমিকা সঠিক ছিল না বলে দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের।
শিশু রোগ বিভাগের প্রধান ডঃ তারাপদ ঘোষ, সিরিঞ্জের সংকট মানতে অস্বীকার করলেও অ্যাড্রিনালিন সরবরাহের সমস্যাটি স্বীকার করেছেন। সোমবার এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, “এই মুহূর্তে অ্যাড্রিনালিন সরবরাহ ঠিকমতো হচ্ছে না।” তবে, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিতরণের অভিযোগে দুই ডাক্তারসহ পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। এই সংকটজনক পরিস্থিতি নিয়ে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্রমশ কমছে। প্রশাসন এই সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতি নিয়ে এখনও অসন্তোষ বিরাজ করছে।