খড়্গপুর, মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে খয়েরুল্লাচক সংলগ্ন কুঁয়াবুড়ি ও দেলুয়া এলাকায় রবিবার (১০ নভেম্বর) ১০-১২টি হাতির একটি বিশাল দল পৌঁছে যাওয়ার পর থেকেই শহরবাসী আতঙ্কিত। তবে সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার ভোরে, যখন এই হাতির দলটি খড়্গপুর শহরে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা অবাক হয়ে দেখেন যে, হাতির দলটি খড়্গপুর স্টেশন ও রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন সাউথ সাইড এলাকার ছোট একটি জঙ্গলে অবস্থান করছে। শহরের মধ্যে হাতি প্রবেশের খবরে শুরু হয়ে যায় তীব্র তৎপরতা।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে খড়্গপুর স্টেশন, মহকুমা হাসপাতাল (চাঁদমারি হাসপাতাল), রেলওয়ে হাসপাতাল এবং সংলগ্ন সাউথ সাইড এলাকার একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বনদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন, এবং হুলা পার্টি সেখানে তৎপর। শহরের এই এলাকায় হাতির দলটি যাতে কোনো তাণ্ডব না চালাতে পারে, সে জন্য বনদপ্তর এবং পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে।
পুলিশ ও বনদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, সোমবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম থেকে রেললাইন পেরিয়ে একটি বিশাল হাতির দল খড়্গপুর শহরে ঢুকে পড়ে। এই দলে প্রায় ১০-১২টি হাতি রয়েছে। প্রথমে তারা গোকুলপুর সংলগ্ন টাটা মেটালিক্স কারখানার আশেপাশে অবস্থান করছিল, কিন্তু তারপরে শহরের ভিতরে প্রবেশ করে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, বনদপ্তর শহরে হাতি প্রবেশ আটকাতে যথেষ্ট তৎপরতা দেখাতে পারেনি। তবে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তারা প্রথম থেকেই সতর্ক ছিল এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে।
খড়্গপুরের সাউথ সাইড এলাকায় হাতির দলটি বর্তমানে একেবারে জঙ্গলে অবস্থান করছে, এবং বনদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসন তাদের নজরে রেখেছে। এদিকে, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তা বন্ধ করার পাশাপাশি, দুপুরের মধ্যে হাতির দলকে ড্রাইভ করে জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
খড়্গপুর শহরের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হলেও, প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। সবার আশা, অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।