পূর্ব মেদিনীপুর: ক্ষীরাই – বাংলার ফুলের দেশ 🌼🌸পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরাই এলাকা এখন একটি পরিচিত নাম, বিশেষত শীতকালে বিভিন্ন রঙের ফুলের জন্য। ক্ষীরাই স্টেশন থেকে হাঁটাপথে পৌঁছে দেখা মেলে বিস্তীর্ণ ফুলের খেতের, যা স্থানীয়ভাবে দোকান্দা ও পশ্চিমখোলা নামে পরিচিত। এই এলাকাগুলির চারপাশের মাঠে এক নজরে দেখা যায় গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, অ্যাস্টর, গোলাপ এবং আরো নানা ধরনের ফুলের জমি। তবে, শীতকালে এই অঞ্চল ফুলের প্রাচুর্যে সত্যিই অপরূপ।
ক্ষীরাইয়ে কিভাবে পৌঁছাবেন, হাওড়া থেকে মেদিনীপুরগামী ট্রেনে প্রথমে পাঁশকুড়া ও তারপর ক্ষীরাই স্টেশন। ক্ষীরাই স্টেশন থেকে সরাসরি ফুলের খেতে পৌঁছানো যায়। দোকান্দা বা পশ্চিমখোলাতে পৌঁছাতে হলে স্টেশন থেকে প্রায় ১৫ মিনিট হাঁটা লাগে, যদিও এখন টোটো বা গাড়িও চলাচল করে, যা পৌঁছানোকে আরও সহজ করে তুলেছে।
ক্ষীরাইয়ে কি দেখবেন, ক্ষীরাইতে শীতকালে ফুলের রাজ্যে মুগ্ধ হতে পারেন আপনি। রঙিন গাঁদা ফুলের পাশাপাশি অ্যাস্টর, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ ও মোরগঝুঁটি মাঠে মাঠে সাজিয়ে রাখে। এখানে ফুল ও গাছের চারাগাছ খুবই সস্তায় পাওয়া যায়, যা এখানকার সৌন্দর্য্য আরও বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া যারা ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্যও এটি একটি আদর্শ স্থান।
স্থানীয়দের প্রতি আমাদের দায়িত্বক্ষীরাই গ্রামবাসীরা অত্যন্ত সহজ-সরল ও অতিথিপরায়ণ। তাদের অর্থনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ অংশ এই ফুল চাষের উপর নির্ভরশীল, তাই এখানে ঘোরাঘুরি করতে গেলে ফুল গাছের কোনো ক্ষতি না করে সতর্কভাবে চলা উচিত। এছাড়া এই অঞ্চল নোংরা না করার প্রতি দৃষ্টি রাখাও আমাদের কর্তব্য, যাতে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দীর্ঘদিন আমাদের মুগ্ধ করে যেতে পারে।
সংক্ষেপে তথ্যস্টেশন: পাঁশকুড়া ও ক্ষীরাই (হাওড়া-মেদিনীপুর রুটে), ফুলের প্রজাতি: গাঁদা, অ্যাস্টর, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, মোরগঝুঁটি, যাতায়াত ব্যবস্থা: স্টেশন থেকে টোটো ও মারুতি, আনুমানিক খরচ: একদিনের ট্রিপে খুবই সাশ্রয়ী ।। #Mecheda #KhiraiValleyOfFlowers #Khirai #ValleyOfFlowers #FlowerLandOfBengal #ক্ষীরাই