অমিত খিলাড়ি, ডেবরা: আবর্জনার স্তুপে নাকাল ডেবরা দুর্গন্ধে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর হলো ডেবরা। এই ডেবরার উপর দিয়ে গিয়েছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। প্রতিদিন ময়না, পটাশপুর, দীঘা, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হলদিয়া, ঘাটাল, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সাথে যোগাযোগের জন্য কয়েক হাজার বাস এই ডেবরা বাজারের উপর দিয়ে চলাচল করে। পাশাপাশি পুরী, ভুবেনশ্বর, ঝাড়খন্ড সহ অন্তরাজ্য বাস পরিষেবা গুলো এই ডেবরা বাজারের ওপর দিয়ে যায়। ফলে প্রতিদিন ডেবরা, পিংলা, সবং, নারায়ণগড়, পটাশপুর, খড়গপুর গ্রামীণের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো এই ডেবরা বাজার।
জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হওয়া সত্ত্বেও ডেবরা বাজারে নেই কোন শৌচালয় এবং আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা। যার জেরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে, এবং ডেবরা ওভারব্রিজের দুইপাশে জমে উঠেছে আবর্জনার স্তুপ। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথচলতি মানুষ, সকলেই এই দুর্গন্ধে নাজেহাল।
পাশাপাশি গত কয়েক বছরে ডেবরা বাজারের আশেপাশে দোকানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আবর্জনা ফেলার কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। ফলে, ব্যবসায়ীরা যেখানে-সেখানে ফেলে দিচ্ছেন দোকানের আবর্জনা। ফেলে দেওয়া সেই আবর্জনা স্তূপের গন্ধে নাজেহাল ডেবরার বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি যত্রতত্রের আবর্জনা ফেলার ফলে এলাকায় দূষণ বাড়ছে।
ডেবরা স্থান বাসিন্দা সুনীল কুমার দাস বলেন ”এই আবর্জনা স্তুপের গন্ধের জন্য এলাকায় ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু ডেবরা বাজার নয়। ডেবরা বাজারের আশেপাশে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এই আবর্জনার গন্ধে নাজেহাল। তিনি বলেন এই আবর্জনা স্তুপ এর গন্ধের জন্য আমরা বাড়িতেও ঠিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব দ্রুত যাতে এই আবর্জনা স্তূপ এলাকা থেকে সরানো হয় এবং ডেবরা বাজারের বিভিন্ন দোকান বা ব্যবসায়ীদের আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন জায়গা চিহ্নিত করার”।
স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ উঠলেও, ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাদল মণ্ডল বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, “অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ। ডেবরা বাজারে জায়গার অভাবে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত আলোচনা করে একটি সুনির্দিষ্ট সমাধান বের করার চেষ্টা করছি।”ডেবরার এই পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। সবাই এখন আশায় তাকিয়ে রয়েছে, কবে এই আবর্জনার স্তুপ সরিয়ে এলাকার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।