অমিত খিলাড়ি, ডেবরা: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোবাইল ফোন বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ডেবরার বছর ১৯ এর সৌনক পালের। জানাযায় গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাধামোহনপুর স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে করে মৌড়িগ্রাম যাওয়ার পথে সকাল আনুমানিক ১০ টা নাগাদ পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে হঠাৎই হাত থেকে ফোন পড়ে যায় সৌনকের। আচমকায় হাত থেকে ফোন পড়ে যাওয়ায় সেই ফোন কে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেন থেকে পড়ে যায় সৌনক পাল। তদক্ষণাৎ স্থানীয় বাসিন্দা এবং রেল কর্তৃপক্ষ সৌনকে উদ্ধার করে স্থানীয় পিতপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখান থেকে সৌনকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে। পরে সৌনকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মা*রা যায় সৌনক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সৌনকের বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলায় হলেও ছোট থেকেই ডেবরা ব্লকের ডুঁয়ার হরিচরণ গ্রামে মামা বাড়িতে থাকতো। সৌনক উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর আইটিআইএ প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। পাশাপাশি হাওড়ার মৌড়িগ্রামের একটি সংস্থায় ফায়ার ব্রিগ্রেডের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল।
শনিবার সকালে সেই সংস্থায় ট্রেনিং নেয়ার জন্যই রাধামোহনপুর থেকে হাওড়া গামী লোকাল ধরে রওনা দিয়েছিল সৌনক। কিন্তু কয়েকটা স্টেশন পার করার পরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। সৌনকের মৃ*ত্যুর খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ডুঁয়ার হরিচরণ গ্রামের মামাবাড়ী এবং ঝাড়গ্রামের বাড়িতে।