তমলুক: তমলুকের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পাম্পের সাহায্যে দিনের বেলায় একটি পুরোনো পুকুর বুজিয়ে ফেলার অভিযোগকে ঘিরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুরটি ভরাট করে সেখানে নার্সিং হোম তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
তমলুকের হলদিয়া-মেছেদা রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত ১ বিঘা জমির উপর এই পুকুরটি প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। স্থানীয়দের দাবি, পুকুরটি প্রায় ২০টি পরিবারের প্রতিদিনের জলের চাহিদা মেটায়। অথচ, কয়েক দিন আগেই পাম্প দিয়ে জল বের করে পুকুরটি শুকিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়। ১৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে “দ্যা মেদিনীপুর টাইমস”-এ বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পরে প্রশাসন তৎপর হয়ে কাজ বন্ধ করে। তবে মাত্র তিন দিনের মধ্যেই পুনরায় ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে পুকুর মালিক কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন , পুকুর সংস্কারের উদ্দেশ্যে তিনি কাজ শুরু করেছেন এবং এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম পালের কাছ থেকে অনুমতিও পেয়েছেন। ওপর দিকে কাউন্সিলর গৌতম পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন , “পুকুর সংস্কারের কাজ চলছে, তবে পার বাঁধানোর বাইরে কোনো বেআইনি কাজ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কিন্তু অন্যদিকে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে যে, তৃণমূল নেতারা কাটমানি খেয়ে পুকুর ভরাটের মতো অবৈধ নির্মাণকার্যে মদত দিচ্ছেন। “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের প্রত্যক্ষ যোগসূত্র রয়েছে। জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে।”
এই ঘটনায় তমলুক পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানান, “বিষয়টি নজরে আসার পর প্রশাসনের সাহায্যে কাজ বন্ধ করানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”