Tripura: ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলা, বিকাশ দেববর্মার নির্বাচনী এলাকায় আবারও ঘটে গেল একটি কলঙ্কজনক ঘটনা। কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক বিপুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের প্রতি কুপ্রস্তাব এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ ওঠার পর, তার উপর উত্তেজিত ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার, যেখানে অভিযোগ করা হয় যে, শিক্ষকের অশ্লীল আচরণ এবং কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীরা ও অভিভাবকরা মিলে শিক্ষককে অর্ধনগ্ন করে জুতো এবং ঝাঁটা দিয়ে পেটায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়, এবং প্রধান শিক্ষক মনোজ দেববর্মা ঘটনাটির সময় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন বলে অভিযোগ।
বিপুল বিশ্বাস, “সিভিন লার্নিং চ্যাট প্রাইভেট লিমিটেড”-এর চুক্তিবদ্ধ কর্মী হিসেবে কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল মন্তব্য এবং অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ উঠেছে। সূত্র অনুযায়ী, প্রায় ছয় মাস আগে এক ছাত্রীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের চত্বরে একটি বিরোধ হয়েছিল, তবে তা সেসময় এস.এম.সি কমিটির সালিশি সভার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল।
তবে, সম্প্রতি আবারও বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর তিন ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল মন্তব্য করেন শিক্ষক বিপুল বিশ্বাস। ঘটনার পরপরই ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষক এবং অভিভাবকদের জানালে, প্রধান শিক্ষক মনোজ দেববর্মা ঘটনাটি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে চুপ থাকেন।
ঘটনার পর শিক্ষকের বিরুদ্ধে আক্রোশ প্রকাশ করে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা তাকে রামধোলাই দেয়, এবং সেসময় তাকে অর্ধনগ্ন করে জুতো, ঝাঁটা এবং বাঁশ দিয়ে শারীরিক আক্রমণ করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিদ্যালয়ের এস.এম.সি কমিটি এবং তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষক বিপুল বিশ্বাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
শিক্ষক বিপুল বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন যে, তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনার সাথে জড়িত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, তিনি কিছুই জানেন না এবং সম্পূর্ণ ঘটনা মিথ্যা বলে জানিয়েছেন। তবে, পুলিশ এখন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং দেখা যাচ্ছে, তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ কি রহস্য উন্মোচন করতে পারে। এদিকে, ঘটনায় দুই ছাত্রীর অসুস্থতার কারণে তাদের চিকিৎসার জন্য তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।